সাংবাদিকের নাম প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:৪৬ এএম
লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নিহত ৭ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে। এরপরই বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা সক্রিয়ভাবে পরিচয় জানার জন্য কাজ শুরু করেন। পরে ইতালির কাতানিয়া ও পালেরমোতে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে এই সাত বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া যায়। রোম দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রমকল্যাণ) মো. এরফানুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোম দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারানো সাত বাংলাদেশি হলেন- ১. ইমরান হোসেন, গ্রামের বাড়ি পশ্চিম পিয়ারপুর, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর। ২. জয় তালুকদার ওরফে রতন, গ্রাম পিয়ারপুর, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর। ৩. সাফায়েত, গ্রাম ঘটকচর, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর। ৪. জহিরুল, গ্রাম মোস্তফাপুর, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর। ৫. বাপ্পী, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর। ৬. সাজ্জাদ, গ্রাম মামুদপুর, উপজেলা জামালগঞ্জ, জেলা সুনামগঞ্জ ও ৭. সাইফুল, উপজেলা ভৈরব, জেলা কিশোরগঞ্জ।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় সাত বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া এসব বাংলাদেশির পরিচয় তাৎক্ষণিক ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো ধরনের শনাক্তকারী কোনো নথিপত্র ছিল না বিধায় শনাক্তকরণে বেশি সময় লেগে যায়।
পরে সাত বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়ার জন্য উদ্ধার করা ব্যক্তিদের সঙ্গে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা যোগাযোগ অব্যাহত রাখলে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মৃত সাত বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া যায়।
রোম দূতাবাস আরো জানায়, দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এখনো স্বজনদের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে এবং মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে দ্রুত নিকটস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অথবা ই–মেইলের মাধ্যমে রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
দূতাবাসের ইমেইল welfare.rome@gmail.com। এ ব্যাপারে রোম দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. এরফানুল হক বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশ সরকারি খরচে দেশে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, লাম্পেডুসা দ্বীপের কর্তৃপক্ষ ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনদের যথাযথ নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে লাশগুলো সরকারি খরচে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রোম দূতাবাস সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।